মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

ধর্ম

মানুষের সাথে মানু্ষের মিলনে,
উপাসনা ধর্মই সবথেকে বড়ো অন্তরায়।
আদিম যুগের হিংস্রতার পুরনো খোলস ছিন্ন করে,
মানুষ স্বাধীন ভাবে বাচতে চায়।
কিন্তু বাঁচতে কি পারে?
না, কখনওই পারে না,
--ধর্মই ছুটে এসে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

হায় রে! গোলাপচা ধর্ম,
তুমি কখনোও মানবতার গান শোনাও নি,
যুগ যুগ ধরে হিংস্র থাবা বের করে,
নিজের স্বমূর্তি ধারন করে,
সূর্যকে নিজের চারপাশে ঘোরাতে চেয়েছিলে,
-----এ কথা আমরা ভুলে যায় নি,
কিন্তু, তোমার সমস্ত প্রচেষ্টায় বিজ্ঞানের আবিস্কারে ব্যর্থ।
আদিম যুগের ঘোর অন্ধকার ভেদ করেই,
একদিন উদিত হবেই,
মানব সভ্যতার অগ্রগামী  সূর্য।

ধর্মের অত্যাচার  সহ্য করতে করতে
সচেতন মানুষ,আজ অর্ধ পাগল।
ধর্ম নারীকে করেছে পরাধীনা, শূদ্রাণী, নরকের দ্বার,
ধর্ম তোমাকে জীবিত রেখেছে আজ,
একবিংশ শতাব্দীর রাশি রাশি কুসংস্কার।

মানুষের সাথে মানুষের মিলনে,বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়,
 মন্দির, মসজিদ, গীর্জার অদৃশ্য বিধাতা!
টিকি, দাড়ির ম্যারাথন  দৌড়ে,
তপ্ত ভূমিতলে পদপৃষ্ঠ  অসহায়  মানবতা।

মানুষের মানবতা হারিয়ে যায়,
নতুবা,লজ্জাবোধ মুখ ঢাকে
যখন,মায়ের জরায়ু চিরে,
ত্রিশুলে ভ্রুন বের করে,
মহানন্দে ধার্মিক বাজায় ধর্মেরঢাক।

শিশির ভেজা শিউলি ফুলে,তাজা রক্তের ছাপ,
গুজরাট, দাদরি,বাংলাদেশ, তার জলন্ত প্রমান।
ধর্মের আফিমের নেশাকারী, যারা মদমত্ত,
তারা ধর্মের নামে সকল কুকর্মই করে,
ছেলে-বুড়ো,বাদ যায় না দুধের শিশু,
ক্রোধানলে সবাইকে আছড়ে মারে।
ধর্ম এখন ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময়,
মোল্লা,পুরুত সবারই এক রা,
হিংস্রতায় কেউ কি কম হয়?

বন্ধু, সেদিন আর বেশি দূরে নয়,
যেদিন সচেতন মানুষ কাছে ধর্মের প্রয়োজন  ফুরাবে,
সেদিন ধর্মকে অপ্রয়োজনীয়,পরিত্যক্ত  ভেবে,
ছুড়ে ফেলে দেবে রাস্তার ঐ ডাস্টবিন এ।
এগিয়ে যাবে মানুষ, মুক্তচিন্তা, যুক্তিরপথ ধরে,
নতুন সমাজ গঠন হবে বিশ্বচরাচরে।