রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২

পার্থবাবুকে খোলা চিঠি

 #পার্থবাবুকে খোলা চিঠি,

...............

 আমি ঠিক জানি না, এই খোলা চিঠিটি আপনার কাছে অদৌও পৌঁছাবে কিনা ! তবুও আপনাকেই লিখছি।

মাননীয় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী  আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।আমরা জানি যে, "শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি"। সেই মহান শিক্ষা দপ্তরের আপনি প্রধান, তথা শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।  গোটা রাজ্যের সাথে আমারও শিক্ষা মন্ত্রী। এতদিন আমার ধারণা ছিল যে, যারা শিক্ষার সাথে ওতোপ্রেত ভাবে যুক্ত তারা কখনোই পাহাড়প্ৰমান দুর্নীতির সাথে যুক্ত হতে পারে না। আপনি আমার সেই বিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছেন। আপনার প্রতি  যা শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল তা এই দুর্নীতির খবরে নিমিষেই উধাও হয়ে গেছে।


বর্তমান যুগটা হচ্ছে, ডিজিটাল যুগ, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। তাই আর কারো জানতে বাকি নেই, যে আপনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ী থেকে একুশ কোটি টাকা সহ আশি লক্ষাধিক টাকার গহনা এবং প্রায় কুড়িটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এমনকি ssc পরীক্ষার কয়েকটি এডমিট কার্ড পাওয়া গেছে। 


এখন আপনি বলুন, এই অবৈধ  এক কোটি আধ কোটি নয়,একুশ কোটি টাকার উৎস কী?? আপনার বান্ধবীর বাড়িতেই বা ssc পরীক্ষার কয়েকটি এডমিট কার্ড গেল কিভাবে?? 

আপনি না বললেও রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীগন বলতে শুরু করেছে, যে এই টাকা ssc দুর্নীতির টাকা।  এই টাকা হাজার হাজার বেকার যুবকদের জমি,বাড়ি বিক্রি করা টাকা।এই টাকা গরিব মানুষের ঘাম  ঝরানো টাকা। 


আপনি দীর্ঘসময় ধরে হাজার হাজার শিক্ষিত  বেকার ছেলেমেয়েদের সাথে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। যাদের চাকুরী দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি আপনি নিয়েছেন। তাদের আপনি ভুলে গেছেন।  ঠিক খোঁজ রাখলে দেখতে পেতেন, তাদের অনেকেই চাকুরী না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।  সেই দায় আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন?? 


আচ্ছা, মাননীয় পার্থবাবু,আপনি তো আমাদের রাজ্যের সেরা স্কুল রামকৃষ্ণ মিশন থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন।এই আপনার রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষা??


যাক, আজ আর বেশি কিছু লিখে চিঠিটি দীর্ঘায়িত করতে চাই না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের(ssc) দুর্নীতির মামলায় আপনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্ত চলছে। আপনি দুর্নীতি করে থাকলে শাস্তি পাবেন। আমি চাই, রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা দেরিতে হলেও সুবিচার পাক।


আপনি প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী।তাই আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ আপনি ভুল করুন,দোষ করুন আর দুর্নীতিই যায় করুন। তবুও তো আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

                                 ✍️জামাল আনসারী

                                       24/07/2022



শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও কিছু কথা

 


স্বাধীন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি, তথা ভারতের পনেরো তম রাষ্ট্রপতি মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুকে  আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।


 শুধু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন নয়, দ্রৌপদী মুর্মু এই জয়ে গোটা ভারতের মানুষজন খুশি হয়েছেন। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে কয়েকটি পথসভা, মিছিল,পদযাত্রা বের হয়েছিল।আর হবেই না কেন?? এতো বছর পর আমাদের দেশের কোনো সরকার এই প্রথম আদিম জন জাতি গোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনো মানুষকে দেশের প্রথম নাগরিক সন্মান দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসলেন।


তিনি দেশের পনেরোতম রাষ্ট্রপতি হিসাবে কতটা সফল হবেন বা ব্যর্থ হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ঐ যে বলে না, আজকের দিনটা কেমন যাবে তা সকালের সূর্যদোয়ের পরেই জানা যায়। 

এখন আসুন,আমরা খোলা মনে, আমাদের  নির্বাচিত নতুন রাষ্ট্রপতি মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুর সেই সকালটা তথা অতীত ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করি।


দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামের একটি সাঁওতালি উপজাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এবং দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার অধীনে গ্রামের প্রধান ছিলেন।


দ্রৌপদী মুর্মু শ্যাম চরণ মুর্মুকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির দুটি ছেলে ছিল যারা উভয়ই মারা গেছে এবং বর্তমানে একটি মেয়ে আছে।

তিনি ১৯৯৭ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং রায়রঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন।


উড়িষ্যা বিধান সভায় এক সময় মন্ত্রী ছিলেন এই দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সময়  সরকারের মদতে আদিবাসী দের জোর করে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।আদিবাসীরা একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। তৎকালীন উড়িষ্যা সরকারের পুলিশ বাহিনী গুলি চালায়  । ফলে তিনজন আদিবাসী মারা যান। আদিবাসীরা জমি থেকে অন্যায় ভাবে বলপূর্বক উচ্ছেদ হয়।তবুও তিনি সরকারের একজন মন্ত্রী পদে বসে চুপচাপ থাকেন।পদত্যাগ তো দূরের কথা কোনো মৌখিক প্রতি বাদ ও করেননি।


 এছাড়াও  ঝাড়খন্ডে যখন বিজেপি সরকার তখন পাঁচ বছর রাজ্যপাল ছিলেন। এই রাজ্যপাল থাকা কালীন  ওই সেই সময় আদিবাসী দের স্বার্থ বিরোধী সমস্ত বিলে উনি সই করেন। মানুষ মিথ্যে কথা বলতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস কখনও মিথ্যে কথা বলে নি। 


এখন অনেকেই আদিবাসী রাষ্ট্রপতি ,আদিবাসী রাষ্ট্রপতি বলে নৃত্য জুড়েছে তাদের ভালো করে জেনে রাখা ভালো যে, ঝাড়খন্ডে পাঁচ বছর রাজ্যপাল থাকলেও আদিবাসীদের জন্য তিনি কিছুই উন্নতি করেন নি। উপরন্তু চরম আদিবাসী বিরোধী হিসেবেই উনাকে দেখা গেছে।  আসলে নামেই মুর্মু বা আদিবাসী  কাজে মোটেই আদিবাসী নন।


©জামাল আনসারী

22/07/2022



ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও কিছু কথা

 

ভারতীয় যুক্তরাষ্টীয় কাঠামোর রাষ্ট্রপতি পদটির গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের সংবিধানে কেন্দ্রীয় শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি। শাসন বিভাগের শীর্ষে রাষ্ট্রপতির অবস্থান। সংবিধানের ৫৩ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতেই ন্যস্ত থাকবে। তিনি নিজে কিংবা তার অধস্তন কর্মচারীদের মাধ্যমে শাসনক্ষমতা প্রয়ােগ করেন। তিনি একাধারে শাসন বিভাগের প্রধান, অন্যদিকে আইন বিভাগের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।এবং তিনিই ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।


ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেখা যায় যে, এই রাষ্ট্রপতি পদটিতে যারা আসীন হয়েছেন, তারা সকলেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন, তাদের শিক্ষা দীক্ষা পান্ডিত্য নিয়ে কারো  কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না। একটা সময় ছিল যখন একমাত্র শিক্ষিত ,সমাজ সচেতন নাগরিকদের এই মহান পদে বসানোর রেওয়াজ ছিল। ভারতের এই রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছেন―রাজেন্দ্র প্রসাদ,সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ,ড:জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মহম্মদ হিদায়েতুল্লা(অস্থায়ী),ভি ভি গিরি,ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ,আর ভেঙ্কট রামন,কে আর নারায়ণন,এ পি জে আবদুল কালাম,প্রতিভা পাটিল,প্রণব মুখোপাধ্যায়।


 ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটির মান সম্মানকে এক উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে তারা সক্ষম হয়েছিলেন।ভারতে তো বটেই বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এনাদের নামের খ্যাতি, কর্মের খ্যাতি শুনতে পাওয়া যায়। 


কিন্তু যখন থেকে রাষ্ট্রপতি পদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কম গুরুত্বপূর্ণ বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বসানো হল, তখন থেকেই রাষ্ট্রপতি পদটির গুরুত্ব ম্লান হতে শুরু হয়েছে। ভারতের প্রথম দলিত রাষ্ট্রপতি হলেন রামনাথ কবিন্দ। খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি। তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি কি রাষ্ট্রপতি পদটির সেই অতীত মান সম্মান বজায় রাখতে পেরেছেন?? ভারতের বুকে ঘটমান নানা সমস্যা নিয়ে তিনি একদিনেও কি সংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছেন?? সমস্যার সমাধান নিয়ে তিনি কি একটাও বিবৃতি দিয়েছেন?? 


তিনি এতো বড় একটা পদে বসে তিনি দেশের মানুষের জন্য কি করেছেন! রাষ্ট্র যখন নানা অজুহাতে আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, দমন-পীড়ন চালিয়েছে, ঘর- বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। তখন দলিত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্দ একবারের জন্যেও সেই সব অত্যাচারিত মানুষের পাশে কি দাঁড়িয়েছে ?? না। তিনি কখনও তাদের পাশে দাঁড়ায় নি। সরকারের চাটুকারিতা করতেই পাঁচ বছর কেটে গেছে। জনগণের অভাব অভিযোগ শোনার সময়ই তিনি পান নি। 

ভারতের আদিবাসীদের জল,জমি জঙ্গলের অধিকার যখন সরকার ক্ষমতায় জোরে কেড়ে নিচ্ছে, দেশের কৃষকদের হাতে না মেরে যখন ভাতে মারার জন্য তিন তিনটি কালা আইন এনেছিল, তখনও রামনাথ কবিন্দের মুখে একটিও শব্দ বের হয়নি। কেন??  


আসলে সরকার  চাই, রাষ্ট্রপতি পদে এমন লোক বসুক,যে সরকারের আজ্ঞাবহ হবে, সরকার যা বলবে রাষ্ট্রপতি তাই করবেন।রাষ্ট্রপতি হবেন সরকারের হাতের পুতুল। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কবিন্দ পাঁচ বছর  কাজ করার পর অবসর নিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও এটাই সত্যি যে, বিদেশের কথা আমি ছেড়েই দিলাম, আমাদের ভারতের 99%  মানুষ উনার নামেই আজ পর্যন্ত শুনেই নি। 


এবার নাকি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চলেছেন, দ্রৌপদী মুর্মু।  দেখা যাক, তিনি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, কতটুকু কাজ করেন।


 তিনি কি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটির অতীতের গৌরবময় ইতিহাস, হারানো মান- সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারেবেন?  তিনি কি ভারতের আদিবাসী মানুষের জল,জমি,জঙ্গলের অধিকার ফিরিযে দিতে পারবেন?  ভারতের বুকে আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে, তা কি দ্রৌপদী মুর্মু কঠিন হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন?? 

দেখা যাক, এই সব প্রশ্নের উত্তর  সময়ই একদিন বলে দেবে।


রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাখি। ভারতের প্রতিটি মানুষ আপনার প্রতি অনেকে আশা,আকাঙ্খা ,প্রত্যাশা নিয়ে আগামী দিনের পথ চলার দিকে তাকিয়ে আছে।


©জামাল আনসারী 

20/07/2022



শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

আপনার করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু??

 আপনার করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু??


সমীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা বড়লোক। যারা করোনা সম্পর্কে খুবই সচেতন নাগরিক। টিভি, সংবাদপত্রের কল্যানে আজ কত করোনা রোগী বাড়ল, গতকাল কত করোনা রোগী বেড়েছিল, প্রায় সব খবর নখ দর্পণে রাখেন।যারা 24 ঘন্টায় মধ্যে 18 ঘন্টা মাক্স ব্যবহার করেন,ঘনঘন হাতে সেনিটাইজার নেয়,এমনকি কোথাও বাসে বা ট্রেনে এমনকি প্রাইভেট গাড়িতে গেলেও সঙ্গে করে বোতল বোতল সেনিটাইজার নিয়ে যান ।যারা সমাজে VIP বলে পরিচিত।এমনকি যারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী তারায় বেশি বেশি করে করোনা আক্রান্ত হয়। VIP ব্যক্তিরা কেউ একবার, কেউ দুবার কেউ তিনবার করে করোনা আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ,দ্বিতীয় ডোজ বহুদিন পূর্বেই নেওয়া হয়ে গেছে। তবুও এরা বারবার করোনায় আক্রান্ত হয়। এবং ভবিষ্যতেও এদের করোনায় বা অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা 99.99%.....


 অন্যদিকে সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, যারা করোনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সচেতন নয়। মাক্স পরেন না ।যাদের সেনিটাইজার কেনারও পয়সা নেই। এদের 90% বাড়িতে টিভি নেই। এরা সংবাদপত্র পড়েন না,বলে আজ কত করোনা রোগী বাড়ল, গতকাল কত করোনা রোগী বেড়েছিল, তার কোনো হিসেব রাখার প্রয়োজন মনে করেন না। ।ঘনঘন হাতে সেনিটাইজার নেয় না।এমনকি কোথাও বাসে বা ট্রেনে গেলেও সঙ্গে করে বোতল বোতল সেনিটাইজার নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য এদের নেই ।যারা সমাজে শ্রমজীবী, লেবার, দিনমজুর নামে  পরিচিত।যারা গ্রামে বাস করেন ,তাদের কিন্তু সেরকমভাবে করোনা  হয় না। দূরবীন দিয়ে খোঁজা খুঁজির পর যে দু একটা গ্রামের দিকে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়, সেটা পার্সেন্টেজে ধরা যায় না । এদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা 0.01%...


এবার আপনি হিসেব করে দেখুন। আপনার করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু??


(বিঃদ্রঃ―এই সমীক্ষাটি আপনার পছন্দ না হলে আপনি নিজে সমীক্ষা করে হাজার বার দেখতে পারেন।)


©জামাল আনসারী 

08/01/2022