একবিংশ শতাব্দীর যুব সমাজ মেরুদণ্ডহীন,দুর্বল,
প্রতিবাদহীনতায়,ভেঙেছে তাদের যুগ যুগান্তরের সঞ্চিত মনোবল।
সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পে,পৃথিবী দিশাহারা,
দ্রুত থেকে দ্রুততম বেগে ধাবিত,
হিংসার লেলিহান শিখা।
বিশ্বের কেউই আজ আর সুরক্ষিত নয়,
ক্রমবর্ধমান বাক্ স্বাধীনতার কণ্ঠরোধে__
সবাই ভীত, সন্ত্রস্ত,
ঘোষিত মানবতাবাদীরাও বর্তমানে বাক্ হারা।
প্রাণ চঞ্চল যুব সমাজ তবে কি নীরব দর্শক?
না, তা হয়তো নয়..
বহু দলে আজ তারা ছন্নছাড়া।
পৃথিবীর কোনায় কোনায় দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
পৌঁছে গেছে উগ্রবাদের রণংদেহি হুংকার।
দৈনিক খবরের কাগজে,টিভির পর্দায়,
এখন চোখ রাখলেই শোনা যায়,
অসহায় মানুষের গগনস্পর্শী বুকফাটা করুণ আর্তনাদ।
ধর্মের জন্য, কল্পিত প্যুণ্যফলের আশায়,
কত প্রানচঞ্চল, তরুণ তরুণী,
না বুঝেই ঝাঁপিয়ে পড়ে,
ধর্মের ষাঁড়েদের পাতা ফাঁদে।
হাজার হাজার কুকর্ম করেও
তারা স্বর্গে যাওয়ার জন্য অঝোরে কাঁদে।
হায় রে দেশের যুব সমাজ!
অসীম নীল মত্ততার টানে ,বিকৃতরুচির উত্থানে,
ক্রমশ অবক্ষয়িত যুব সমাজ।
যারা গোটা পৃথিবীকে উল্টে পাল্টে,
দেওয়ার অসীম ক্ষমতা রাখে,
তারা কেন আজ ভয়ে কাঁপে?
এই যুব সমাজের দুর্দশা দেখে,
বসুন্ধরাও আজ নীরবে কাঁদে।
এ যুব সসমাজের ঘুম ভাঙবে আর কবে?
তারা খুলে ফেলবে কবে নিজেট চোখের ঠুলি?
অদৃশ্য বিভেদের মায়াজাল ছিন্ন করে,
মানুষের সাথে মানুষের হবে কি কোলাকুলি?
এ ধরাতে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই শ্রেষ্ঠ নয়,
আমরা সবাই মানুষ....
এটাই হোক আমাদের একমাত্র পরিচয়।
১৪/০৯/২০১৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন