মানুষের অজ্ঞতার গর্ভেই জন্মে,
ছোট, বড়ো, মাঝারি মাপের
গুরুবাবা,যুগপোযোগী অবতার।
এরা বহুরুপীর মতো রং পাল্টে,
কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করে,
সুযোগসন্ধানী, ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ সম,
সাজানো সুন্দর সমাজ এরা করে ছারখার।
কুসংস্কারাছন্ন, পঙ্কিলময়,জীবনপথে,
সমস্যাবহুল এই উর্বর সমাজে,
কর্মফল, গ্রহদোষ, জন্মান্তরবাদ স্তুপাকারে,
ধর্মভীরু মানুষজন এদের সহজলভ্য শিকারে,
শাঁখেরকরাতের লাভজনক ব্যবসায়,
শুধুমাত্র মাথায় হাত বুলিয়েই তারা,
কোটি কোটি টাকা জমায় ব্যাঙ্কের ঘরে।
ধর্ষনে অভিযুক্ত, যত বাবা নামধারী,
বহু কুকর্মের সাথী,আপাদমস্তক ভন্ড,
তবুও সমাজের চোখে পায় সন্মান।
ধন্যি আমরা! ধন্য আমাদের সমাজ!
ধর্মভীরু মানুষের চোখে তারা, হিরো,
ইহ জগতের তারা, মূর্তিমান ভগবান।
যারা নিজের উপরে বিশ্বাস হারায়,
হাতে,গলায়, কোমরে,লাল,নীল সুতো জড়ায়,
মাদুলী, কবজ, তাবিজ শরীরে করে ধারন,
তারা জানে না.....
অলৌকিকত্ব বলে কিছু নেই,
সমাজে যা ঘটে, সবই লৌকিক,
তবুও অলীক আশায়,ভরা সংসারে,
ওঝা,গুনিন, তান্ত্রিক, জ্যোতিষরা.....
ভগবান সেজে,করে ভাগ্য নির্ধারণ।
অজ্ঞতার নাগপাশ ছিন্ন করে,
জেগে ওঠো,ধর্মভীরু সমাজ,
মুক্তচিন্তার মশালকে ব্জ্রমুষ্টিতে ধরে,
সামনের দিকে এগিতে চলো,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই.....
জড়তা কাটিয়ে,কুসংস্কারকে লাথি মেরে,
জেগে উঠবে আবার ধর্মভীরু সমাজ।
মুখোশের আড়লে
কঠিন সংকটের মুখোমুখি আমারা
আকাশে বাতাসে শোনা যায় নতুন সমাচার,
রুদ্ধশ্বাসে প্রতীক্ষায় আছি তবু,
চারদিকে ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার ।
মানব সভ্যতাকে গলা টিপে হত্যা করে,
চলছে ধর্মের তান্ডব নৃত্য,
ভোরের ঝরে পড়া শিউলি ফুলে,
লেগে আছে তাজা তাজা রক্ত ।
পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে,
এ কেমন কথা যোগী পুরুষের মুখে?
কবরে গেলেও রক্ষা নেই নারীর,
মৃতদেহ তুলেই ধর্ষন করো তাকে ।
নারী যদি মা হয়, মা হয় দেশ,
তাকেই করবে ধর্ষন ? এই তুমি যোগী?
নর পিশাচ ,লকলক করে জিহ্বা,
যোগীর মুখোশের আড়ালে, আসলে তুমি ভোগী ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন