মা মরা মেয়েটি স্বপ্নেও ভাবে নি,
এত অল্প বয়সে তাঁর বাবা দেখছে বর।
কাঠখড় পুড়িয়ে সামনের রবিবারই বিয়ে,
লেখাপড়া ছেড়ে, যেতেই হবে শ্বশুর ঘর!
খবরটা শুনে বারো বছরের মেয়েটির
মাথায় আছড়ে পড়ে মস্ত আকাশ।
দিশাহারা, অবিরাম ঝরে অশ্রুধারা,
নাওয়া, খাওয়া নাই, নিরম্বু উপবাস।
খবরে প্রকাশ, নারীশিক্ষা,নারীশক্তি,
নারীমুক্তি,নারীর অধিকারের ইতিহাস।
বাস্তবের মাটিতে মেয়েরা আজও অসহায়,
চোখের সামনে ঘটছে, নারীর সর্বনাশ।
খুন, ধর্ষন, শ্লীলতাহানী, নারী নির্যাতন,
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিত্য দিনের ঘটনা।
বাবার পা ছুঁয়ে করুণ সুরে মেয়েটি বলে----
বিয়ে চাই না, এখন করবো পড়াশোনা।
ছলছল দু নয়নে বলে, জোরেই বিয়ে দিলে,
তোমার মেয়ে মরবে, করবেই আত্মহত্যা।
আদর করে বুকের মাঝে রাখত ধরে,
আজ যদি থাকতো, মেয়েটির অন্তর্যামী মাতা।
কিন্তু কে শোনে ছোট্ট মেয়েটির কথা?
তাঁর বাবা অনড়, এমনই নাছোড়বান্দা।
বলে, এমন সুদর্শন, কর্মঠ ভালোপাত্র,
মেয়ের বাবা কখনোই করবে না হাতছাড়া।
এই ভাবে হাজারো প্রতিভা হারিয়েছে অন্ধকারে,
ফুল না ফুটটেই অকালেই তারা পড়েছে ঝরে।
ভালো পাত্রের অজুহাতে মেয়েরা গুরুত্বহীন
বাবা মায়ের কড়া হুঙ্কারে মেয়েরা প্রতিদিনই মরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন