উন্নয়নের রথের চাকায় পৃষ্ট হয়ে,
বস্তারের আদীবাসীরা পালিয়ে বাঁচে,
ছেড়ে দেয়,জঙ্গলের অধিকার।
'অপারেশন গ্রীন্ট হান্টের অত্যাচারে'
ধর্ষিতা হতে হতে ভূমি সন্তানেরা হারিয়ে যায়,
বস্তারের পোড়া গন্ধের ধংসস্তূপের অন্তরালে।
পুঁজিপতি, শিল্পপতিদের বিকৃত লালসার শিকারে,
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অগুনে,
একে একে পুড়ে ধুলিসাৎ হয়ে যায়,
আধিবাসীদের মান,মর্যাদা, ইজ্জত,........
''সালওয়া জুড়ুম' আর মাওবাদী ধরার অভিযানে,
বস্তারবাসী আতঙ্কে কাঁদে, তাদের সর্বনাশে।
সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম,লালগড়,নেতাই,
গুজরাত,জম্মু-কাশ্মীর, বস্তার.....
হাড় হিম করা সেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কথা,
রক্ত দিয়ে লেখা থাকবেই সন্ত্রাসের ইতিহাসে।
মোমবাতিওয়ালা প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে,
মরচে ধরে মাটিতে মিশে যায়,
রক্তলোলু্প কাপুরুষজনোচিত হিংস্রতার ভয়ে.....
'আমরা পিঁপড়ের গর্তের মধ্যে লুকিয়ে পড়ি'।
সন্ত্রাসের রথের চাকা গড়িয়ে চলে,
অনন্তকাল ধরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।
বস্তারবাসী পড়ে থাকে সেই বস্তারেই
দু:খের অনলে পুড়ে অন্তরে অন্তরে।
তারা আজ অন্যায়,অত্যাচারে জর্জরিত,
সাঁড়াশি চাঁপে লাঞ্ছনা,বঞ্চনার শিকার
আমরা কি কখনোও ফিরিয়ে দিতে পারি?
বস্তারের আদিবাসীদের অরন্যের অধিকার।
(প্রতিভা পত্রিকায় প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন